চায়না থেকে দুই ভাবে পণ্য আমদানি করা যায় । বিমানে করে আর জাহাজে করে। বিমানে করে চায়না থেকে পণ্য আমদানি করা অনেক ব্যায় বহুল আর খরচ সাধ্য । তবে যারা দ্রুত পণ্য আমদানি করতে চান তাদের জন্য বিমানে করে পণ্য আমদানি করার বিকল্প নাই। কারন জাহাজে পণ্য আমদানি করতে অনেক সময় লেগে যায়। এই পোস্টে আমি আপনাদের দেখাবো চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানী করার খরচ কত হবে ? চায়না থেকে জাহাজে কি পরিমাণ পণ্য আমদানী করা যায় ?
চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানী করতে কত দিন সময় লাগে ইত্যাদি ।
চায়না থেকে জাহাজে কি পরিমাণ পণ্য আমদানী করা যায় ?
জাহাজে সাধারণত দুই ধরনের কন্টাইনারে আমদানি করা যায়। একটা হলো ২০ ফিট কন্টাইনার আরেকটা হলো ৪০ ফিট কন্টাইনার। একটা ২০ ফিট কন্টাইনারে ৩০ টনের মত পণ্য আমদানি করা যায় আর ৪০ ফিট কন্টাইনারে ৬০ টনের মত পণ্য আমদানি করা যায়। তবে অনেক সময় পণ্যের ভলিওম যদি বেশী হয়, অর্থাৎ এটা যদি জায়গা বেশী নেয় তবে ২০ ফিট কন্টাইনারে ৩০ টন পণ্য নাও ধরতে পারে।
চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানী করতে কত দিন সময় লাগে ?
বিমানে একটা পণ্য বাংলাদেশে আসতে ৩-৪ দিন সময় লাগে। কিন্তু চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানী করতে কমপক্ষে ৪৫ দিন সময় লাগে ক্লিয়ারেন্স সহ।
প্রথমে চায়না থেকে পণ্যটা সিঙ্গাপুর আশে। সেখান থেকে ছোট ভেসেলে করে এটা বাংলাদেশে আসতে ২০-২৫ দিন সময় লেগে যায়। বাংলাদেশে এসে এটা
চট্টগ্রাম পোর্টে খালাসের সিরিয়াল পেতে ১০-১৫ দিন সময় লেগে যায়। এর পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স করতে আরো ৭ দিন লাগে। মোটামুটি ৪০-৪৫ দিন লেগে যাবে একটা কন্টাইনার চায়না থেকে বাংলাদেশে আসতে।
চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানী করার খরচ
চায়না থেকে একটা ২০ ফিট একটা কন্টাইনাররের ভাড়া প্রায় ৮০০-১০০০ ডলার। এটা সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়ে থাকে। ৪০ ফিট একটা কন্টাইনাররের ভাড়া
প্রায় ১৩০০-১৪০০ ডলার । এটার সাথে পোর্ট বিল ৮০০০-১০০০০ টাকা যোগ হবে। আর শিপিং বিল অনেক সময় ফ্রি তে হয়। সাধারণত ১৪ দিন শিপিং বিল ফ্রি থাকে।
আপনি যদি পণ্য আসার পর ১৪ দিনের মধ্যে আপনি পণ্য কাস্টমস ক্লিয়ার করতে পারেন তবে শিপিং বিল ফ্রি ।